মোঃ মেহেদী হাসান সোহাগঃ গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুরের শামীমা খানম বেবি ওরফে প্রতিবন্ধী বেবি নামে কথিত এক নারী সাংবাদিকের অত্যচারে অতিষ্ঠ টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ বউবাজার, মিরাশ পাড়া পূর্ব আরিচপুর এলাকাবাসী। রাজনৈতিক নেতা, ব্যাবসায়ী, সাধারণ মানুষ কেউ রক্ষ পাচ্ছেনা তার হাত থেকে। কখনো দেখা যায় প্রতিবন্ধীদের জন্য টাকা আদায় আবার কখনো সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন ঐ কথিত নারী সাংবাদিক। গাজীপুরে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা সামাজিক পারিবারিক অনুষ্ঠান এর খবর পেলেই ক্যামেরা হাতে হাজির হন সেই অনুষ্ঠানে তিনি দাবী করেন টাকা।
রাজধানী উত্তরা সহ গাজীপুর টঙ্গীর বিভিন্ন মাদক কারবারিদের সাথেও রয়েছে এই কথিত নারীর সখ্যতা। মাদক কারবারিদের সাথে ফোনালাপের কয়েকটি অডিও ক্লীপ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। যেখানে তিনি টঙ্গী কেরানিরটেকের মাদক সম্রাজ্ঞী কারিমা ও রুনারকে বলে আপনি নির্ভয়ে আপনারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান আমি আপনাদের পাশে আছি।
একাধিক মামলার আসামী এই কথিত নারী সাংবাদিক বিভিন্ন অপরাধে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। এই নারী জেল থেকে বাহির হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি নিউজের ভয় দেখিয়ে করেন চাঁদাবাজি। বাংলাদেশের স্বনামধন্য মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও আনন্দ টেলিভিশন এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা অনলাইন পত্রিকা তার বিরুদ্ধে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ হলেও কিছুতেই থামছেনা তার দৌরাত্ম্য।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয়দের দাবী সরকারি ভাবে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে। বিক্ষুব্ধ জনতার হতে ঘটতে পারে প্রানহানীর মত ঘটনা। এদিকে এই কথিত ভুয়া নারী সাংবাদিক কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন এলাকাবাসী। এই কথিত নারী সাংবাদিক গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পূর্ব আরিচপুর নদীরপাড় এলাকার মৃত ডাক্তার আলী আকবরের মেয়ে।
কথিত নারী সাংবাদিক শামীমা খানম বেবি ওরফে প্রতিবন্ধী বেবি তারা ১৮ ভাই বোন ৬ ভাই ১২ বোন। তার সকল ভাইদের নামে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, ছিনতাই, ডাকাতি মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বড় সোহেল ওরফে ডাক্তার সোহেল ও ছোট ভাই শিশিরের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply