শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা আখ চাষ করে, এবার তাদের বাম্পার ফসল উৎপাদন করতে পেরে সকলের মুখে ফোটেছে সুস্থির হাসি। এবার অনেকটা লাভবান হবে বলেও জানান কৃষকেরা। আখ চাষিরা বলেন, দির্ঘ নয় মাস কষ্ট সাধন করে, কৃষকেরা তাদের কষ্টের ফল পেতে যাচ্ছে।
যানা যায়, কৃষক আনিস বলেন, তার এলাকায় তিনিই প্রথম এই আখ চাষ শুরু করেন মাত্র ১৫ শতাংশ জমিতে, আর সেই ১৫ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয় প্রায় ১৫/২০ বিশ হাজার টাকা এবং সে তার ১৫ শতাংশ জমিতে ফলানো আখ বাজারে বিক্রি করে, ৮০ হাজার টাকা। দেখা যায়, এই আখ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়ায় চাষিরা আখ চাষে মনোযোগী হয়ে উঠে। বর্তমানে ঝিনাইগাতীতে প্রায় ৩০/৩৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়।
কৃষক খেজুর মিয়া বলেন, এবার মৌসুমে তিনি ১১৫ শতাংশ জমি আখ চাষ করেন।এতে তিনি নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার না করতে পারায় সে বেশি একটা লাভ জনক আশা করতে পারছেনা সে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি আখ চাষিদের ভাল মানের বীজ ও সার কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করেন, তাহলেই কৃষকেরা ১০০% লাভবান হতে পারবে বলে জানান।
এব্যাপারে কৃষক সৈয়দ জামানও মোঃ জাহেদ আলী বলেন, তারা দির্ঘদিন যাবৎ এই আখ চাষ করে আসছেন। কিন্তু তারা আজও সরকারি ভাবে কোনো প্রকার সহযোগিতা পায়নি, অথচ তাদের চোখের সামনে অনেকে সরকারি ভাবে অনেক সুবিধা নিচ্ছে বীজ ও সার কীটনাশক নিয়ে তারা বাহিরে বিক্রি করে, আর যারা প্রকৃত কৃষক তারা সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত আছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা ( কৃষি) কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ দিলদার বলেন,ঝিনাইগাতীতে প্রায় (৩০) হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। এবং সব কৃষকেরাই আমাদের কাছ থেকে সরকারি ভাবে সহযোগিতা পেয়েছে। হয়তো দু একজন যদি সরকারি ভাবে সহযোগিতা না পেয়ে থাকে পরবর্তী সময়ে তাদেরকেও সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
Leave a Reply