তারেকুল রহমানঃ ছোটখাটো অপরাধ থেকে শীর্ষ পর্যায়ে চলে গেছে কক্সবাজার জেলা উখিয়া উপজেলা বালুখালী এর অনেক অপরাধী। ছিনতাইকারী থেকে হয়েছে ইয়াবা কারবারিও। ইয়াবা কারবারি থেকে বনে গেছেন সাংবাদিক আবার অপরাধ জগতে গড়ে তুলেছেন সাম্রাজ্য।
অপরাধের পাল্লা ভারী হওয়ায় আত্মগোপনে থেকে কেউ কেউ অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও অনেকে সমাজে ‘ভালো’ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। এরমধ্যে কোন কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী কৃষি ও প্রাণী সম্পদ উদ্যোক্তা, আবার কেউ সামাজিক সংগঠন চালু করে আবার কেউ সাংবাদিক আবার কথিত মানবিক ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা করছেন।আবার অনেকে আওয়ামীলিগে যোগ দেয়। অনেকে আবার বৈধ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে সম্পদের আয়-অর্জনের ব্যবধান ঘুচানোর ধান্ধায় মেতে উঠেছেন। কিন্তু এতসব আয়োজনেও কি রেহায় মিলবে? এরই ধারাবাহিকতায় এবার উখিয়া উপজেলা বালুখালী এলাকার ইয়াবা ডন শ ম আব্দুল গফুর এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ এলাকায় নিরীহ মানুষকে হুমকি ও হয়রানি ইয়াবা ব্যবসা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা উখিয়ারঘাট বালুখালি এলাকার শ ম আব্দুল গফুর এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ এলাকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই একজন বালুখালী এলাকার বাসিন্দা হয়েও নিজ এলাকাতে মানুষকে হুমকি প্রদান করিয়ে ও মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি গেল কয়েকদিন আগেও শ ম আব্দুল গফুর সেই একটি বন বিভাগের জায়গাতে বাড়ি নির্মাণ করেছে খবর পেয়ে একটি বাড়ি মালিক এর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তাকে পাঁচ হাজার টাকা না দিলে সে উল্টো বন বিভাগ দিয়ে অভিযান করবে বলে তাদের বাড়ির মালিকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়া হয়।
এ বিষয় নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, শ ম আব্দুল গফুর সে নিজেকে এলাকায় একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করে। এমনকি এই এলাকায় তার রাজত্বে চলে। একই সাথে সেই ইয়াবা ব্যবসা আবারও চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার গ্যাংয়ে একাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করা হোক। সেই এলাকায় একজন সাংবাদিক দাবি করে। যেখানে সাংবাদিকদেরকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই এই সাংবাদিকতা মহান পেশাকে কলুষিত করার জন্য সেই নিজেকেই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি গত বছর সেই বিপুল পরিমাণ নিয়ে গ্রেফতার হয় র্যাব-১৫ এর হাতে।একজন ব্যক্তি যদি ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হলেও সেই আবার কিভাবে সাংবাদিক পরিচয় দেয়।এবং তাকে জেলে প্রেরণ করে সে দীর্ঘদিন জেল কেটে বর্তমানে তার এলাকায় এসে আবারো সেই এই অবৈধ ইয়াবা ব্যবসার সাথে লিপ্ত রয়েছে। সেই তার অবৈধ ব্যবসাকে আড়াল করার জন্য সাইনবোর্ড হিসেবে সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে যাচ্ছে দিন দিন। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করবো তার বিরুদ্ধে যেন তদন্ত নামে গোয়েন্দা সংস্থার লোক। সেই এলাকায় বিভিন্ন যুবসমাজকে ধ্বংস করে যাচ্ছে।
গত বছর ২০২২ সালের রাত ০১.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং টিভি টাওয়ারের সামনে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে আব্দুল গফুর শ ম গফুর (৪৩), পিতা-মোঃ নুরুচ্ছফা শফি, সাং-উখিয়ারঘাট, বালুখালী, ওয়ার্ড নং-০১, ইউপি-পালংখালী, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে একটি মোটর সাইকেলসহ আটক করে। ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির হেফাজত হতে সর্বমোট ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের উখিয়ারঘাট কাস্টম অফিস এলাকার বাসিন্দা মোঃ শফি এর পুত্র আব্দুল গফুর শ ম গফুর। তার সম্পর্কে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে উক্ত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে। এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে সে অধিক পরিচিত। একটি গ্যাং তৈরি করে সে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। অনলাইন কেন্দ্রিক পত্রিকা (অনুমোদন বিহীন) চট্টলা বাংলা.কম নিউজ পোর্টাল খোলে সে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার ফেসবুক পেজে সাংবাদিকের মতো মহান পেশাকে কলুষিত করে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব প্রচার করে আসছিল। এই নিউজ পোর্টালটি তার অবৈধ কর্মকান্ড গোপন করতে একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। ইটভাটা, করাতকল, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ভুয়া সাংবাদিকতার আড়ালে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে সে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।
তার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের সাথে যোগসাজসে সে প্রায়শই টাকার বিনিময়ে জনবিভ্রান্তিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বললে কিংবা তার কথামতো অপরাধ কর্মকান্ডে সহায়তা না করলে তাকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে থাকে। সম্প্রতি সে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে, এ সংক্রান্তে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখমসহ হুমকি প্রদর্শন, চাঁদা দাবী করতঃ চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দুইটি মামলা রয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সে মাদক ব্যবসায় জড়িত মর্মে একজন মহিলার একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।২০১৯ সালে কক্সবাজারের টেকনাফে মাননীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে মাদক কারবারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উপলক্ষে অনেক মাদক কারবারী আত্মসমর্পণ করেছিল। তখন আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারীদের জবানবন্দিতে তার মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া
Leave a Reply