মোঃ মিন্টু শেখ স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু সহনশীল প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।বাংলাদেশে কমবয়সী বালিকা ও নারীদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু সহনশীল প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু সহনশীল প্রাণিজ আমিষ খাদ্য ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় এবং সূচনা কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ… বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টিতে ভোগেন। জলজ সম্পদগুলো স্বাস্থ্য ও জীবিকা নির্বাহে কীভাবে অবদান রাখে, তা বোঝার জন্য উপযুক্ত তথ্যের অভাব ঝুঁকিপূর্ণ এসব জনগোষ্ঠীকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্য বিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিত নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে বাধা দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে। তবে এ প্রকল্পটি গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিজ খাদ্যের সাথে সম্পর্কিত মৎস্য খাতসহ মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞানের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে পারবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তৃণমূল পর্যায়ে এ প্রকল্পটির কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে বিশেষ করে নারী ও কিশোরী মেয়েদের তথা সমগ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য অধিক পরিমাণে পুষ্টি সহায়তায় অবদান রাখবে বলেও মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমদাদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার উল আলম, ইনস্টিটিউ অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের (আইপিএইচএন) পরিচালক ড. শাহ গোলাম নবী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply