আলমডাঙ্গা থেকে আল আমিন হোসনে:
কোনভাবে যেন থামানো যাচ্ছে না চুয়াডাঙ্গার বি আর টি এর কর্মকর্তাদের বেসামাল রাজত্ব। কারণ সমস্যার মূলে যেখানে রয়েছে স্বয়ং কর্মকর্তারা নিজেই। সরিষার ভিতর ভূত থাকলে সেটা বাছাই করা আসলেই আসলে কষ্টসাধ্য । আর এই দুঃসাধ্য সাধন করবেই বা কে ? । গত,৬ মাসের ভেতরে চুয়াডাঙ্গা বি আর টি অফিসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পাঁচটি নিউজ হওয়া সত্বেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের ।এক একটা নিউজ হয় আর এক একটা হুংকার ছাড়তে থাকে একই অফিসে ৬ বছর চাকরি করা ওবায়দুর রহমান ।চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে সীমাহিন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সাংবাদিককে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পিটিয়েছে বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। আজ সোমবার বিকাল ৪ টার সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও এস এফ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সনজু আহমেদ ২০১৯ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াতে দীর্ঘদিন ফাইল পড়ে থাকলেও কোন এসএমএস না আসাতে বি আর টি অফিসে খবর নিতে যায় সনজু ও দৈনিক আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল্লাহ হক সহ কয়েকজন। তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা বিআরটিএ এর কর্মচারী মোঃ ওবায়দুর রহমানের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এবিষয়ে বিআরটিএর মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান এর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য জানতে চাইলে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেন। এ সময় মোবাইল ফোন অন করে তবে অশ্লীল বাক্য রেকর্ড করায় ন হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দেখে কোন কারণ ছাড়া মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন এবং সাথে সাথে ফোনে থাকা ভিডিওগুলো ডিলিট করে দেয় । একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি আবারো শুরু করেন। এসময় ভদ্র ভাষায় কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি তার আসল রূপ অর্থাৎ ক্ষমতা দেখানো শুরু করে। সাথে সাথেই কলার চেপে ধরে কিল ঘুষি মারেন। তাৎক্ষণিক ভাবে অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হলে গণমাধ্যম কর্মীরা বিআরটিএ অফিসে ছুটে আসলে অন্যরকম রূপ নেয়াতে তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ উপস্থিত হয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে।
কিন্তু কোন নিষ্পত্তি তে না যেয়ে সঞ্জু আহমেদ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি চয়েছেনে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একাধিক মহল থেকে তাকে চাপাচাপি করেে। নিউজ প্রকাশ হলে প্রাণনাসের হুমকি পর্যন্ত দেখায় । সঞ্জু লিখিত অভিযোগ করায় পরবর্তীতে ওবায়দুর রহমান সাংবাদিকের নামে চাদা দাবী মামলা করার হুমকি দেখান । এ বিষয়ে ওবায়দুর রহমানের সাথে ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন অফিসের ভেতরে ভিডিও করার পারমিশন আমি দেই নাই। আমার কাছে না জেনেই ভিডিও করায় আমি তাকে ধাক্কাধাক্কি করেছি তবে বিষয়টি মীমাংসের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম কিবরিয়া / ই-মেইল :daliysomoyaralo24info@gamil.com --(জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রিন্ট পত্রিকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই)
দৈনিক সময়ের আলো ২৪ডট কম