মোঃ মিন্টু শেখ স্টাফ রিপোর্টার : গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরে ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মাঝিগাতি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে হামলাটি হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাঝিগাতি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দিলু মোল্লার সঙ্গে রেজাউল মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ওই গ্রামের মুসল্লি বাড়ির সামনে হাবিবের দোকানে বসে ছিলেন রেজাউল মোল্লা। দিলু মোল্লার বাক প্রতিবন্ধী ছেলে রোমান মোল্লা ধারালো ছ্যান দিয়ে রেজাউলকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন রেজাউল মোল্লাকে গোপালগঞ্জের ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রেজাউল মোল্লা ও তার লোকজন দিলু মোল্লার সমর্থক আতিয়ার মোল্লা ও দিলু মোল্লা এবং শামসু মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় বাড়িগুলো লুট করা হয়।
আতিয়ার মোল্লার স্ত্রী হাফেজা বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। রাত দেড়টার দিকে জানতে পারি গ্রামের রেজাউল মোল্লাসহ ১৫-২০ জন লোক আমার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। আজ সকালে বাড়ি এসে দেখি সব কিছু তছনছ অবস্থায় রয়েছে। কেন এটা করলো আমি তা জানি না। আমি বিচার চাই।
এ বিষয়ে রেজাউল মোল্লা বলেন, ১২ বছর আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়ি ভাংচুর করে তছনছ করে দিয়েছিল। আমি গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে থেকে বাড়িতে আসি। ওই রাতে আমার পাশের বাড়িতে হামলার শব্দ শুনতে পাই। কে বা কারা এ ঘটনায় ঘটিয়েছে তা আমি জানি না। আমার ধারণা, তৃতীয় কোনো পক্ষ আমাদের ফাঁসাতে এমনটি করেছে।
মাঝিগাতি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কবীর মোল্লা বলেন, এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আতিয়ার মোল্লা তার পরিবার নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। তার বাড়িতে কেন হামলা চালিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। চেয়ারম্যান ও আমরা মিলে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, মাঝিগাতি ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গতকাল রাতে তিনটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আজ দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। যদি না আসে তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply