মোঃ রফিকুল ইসলাম( গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি) : গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় ফেরারি আসামি গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতা করায় এক যুবকের হাতের কব্জি কেঁটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে হাতের বিচ্ছিন্ন কব্জি বাঁশের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে।মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সুমন মিয়া (৩৪), আসাদ বেপারী ওরফে আসলাম (৩৪), ফজলু ওরফে তোতলা ফজলু (৩২) ও সোহেল রানা (২৫)।প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপি ডিসি আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান জানান, ভিকটিম মোঃ মাসুদ রানা আসামি সুমন মিয়া ও আসলামকে গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে বাসন থানা পুলিশকে গ্রেফতারে সহায়তা করায় তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়।
ঐ শত্রুতার জের ধরেই ৯ মার্চ ভোরে মাসুদ রানাকে বাসন থানাধীন ভোগড়া পেয়ারাবাগান এলাকার ভি.এন্ড.আর গার্মেন্টসের গলিতে মনিরের টিনশেড বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথার বাম পাশ, দুই পা এবং বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন তারা। পরে হাতের বিচ্ছিন্ন কব্জি একটি বাঁশের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যান।
এসময় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোনে পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আহত মাসুদ রানার ভাই মোঃ রাজিব মিয়া বাসন থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সুমন মিয়ার স্বীকারোক্তি এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থল থেকে দুটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply