নিজস্ব প্রতিনিধি :নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র কিনেছেন গাজীপুর সিটির সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। পাশাপাশি মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনি।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাহাঙ্গীর। বুধবার বিকেলে বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২৫ মে এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুর সিটির বিগত নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়া জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধু ও দলকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে ২০২১ সালের নভেম্বরে বহিষ্কৃত হন। পরে তিনি মেয়র পদও হারান। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ।
এর মধ্যে গাজীপুর সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে জাহাঙ্গীর আলম বলে আসছিলেন, তার ওপর কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক চাপ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিটের কর্মী-সমর্থকরা তার বাড়িতে ভিড় করে আসছিলেন। তিনি তাদের প্রার্থী হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন, তিনি আরও একবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। প্রথম থেকেই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আভাস পাওয়া গেলেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত হলো।তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জনগণের সহানুভূতি থাকায় তিনি নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন। তবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে কোনো চাপ এলে তার বিকল্প হিসেবে মাকে নিয়েই মাঠে নামবেন কর্মী-সমর্থকরা। সে জন্য তার মা জায়েদা খাতুনও নির্বাচনে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর ও তার মায়ের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি আরেকবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনে সাধারণ জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিলাম তিন বছরের মধ্যে আমাকে বরখাস্ত করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে চ্যালেঞ্জটা নিতে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজে মনোনয়ন ফরম তুলেছি।’
জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতার বিষয়ে বিচলিত নন জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘শুনেছি জাহাঙ্গীর আলমের পাশাপাশি তার মা-ও নির্বাচনে মনোনয়ন কিনেছেন। এটি হয়তো তাদের ভিন্ন কৌশল। আমরা এতে বিচলিত না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি যাদের আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে, তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবে না।’
Leave a Reply