কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে একাধিকবার ধর্ষণ করার অপরাধে ,কাহারোল থানা পুলিশ ধর্ষক মো. বসার দফাদার কে গতকাল বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মামলার বিবরণে জানা যায় দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৩ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পৌরিয়া গ্রামের মোঃ আকরাম আলীর ষোল বছরের নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার গণ্ডাদুলা গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. বসার দফাদার(৪১) মোবাইল ফোনে বিগত ছয় সাত মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গত ৭ অক্টোবর ঐ স্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে দিনাজপুরে আসতে বলে সেখান থেকে আসামি বসার দফাদার বাসযোগ তার ভাইয়ের বাসায় কেরানীগঞ্জে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার উত্তর পান পট্টিতে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ।
ভিকটিমের বাবা জানায় গত ৭ অক্টোবর কাহারোল বাজারে যাওয়ার কথা বলে তার মেয়ে আর ফিরে না আসলে,অনেক খোঁজাখুঁজির পর কাহারোল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। যাহার জিডি নং ৩৪৭ তাং ০৯/১০/২০২৪। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা মোবাইল ফোনে জানতে পারে তার মেয়ে পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে এবং সেখানে তার উপর অনেক নির্যাতন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাহারোল থানার এস আই মোঃ মমিনুর রহমান মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গলাচিপা থানা পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষক বসার দফাদারকে আটক করে কাহারোল থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক বসার দফাদার ও সহযোগী তার দুই ভাই দাদন দফাদার (৩৪),নাসির দফাদার(৪৩) এবং মজিবর রহমানের স্ত্রী টুলটুলি বেগম (৩০)কে আসামি করে কাহারোল থানায় মামলায় এজাহার ভুক্ত করে ২০০০ ও (সংশোধিত ২০২০) সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে, আটককৃত বসার দফাদারকে আদালতে সোপর্দ করে এবং ভিকটিমকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর বাবলু কুমার রায় নিশ্চিত করে জানান, মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী ও ধর্ষক বসার দফাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ভিকটিম ও আসামের প্রাথমিক জবানবন্দীতে ঘটনা সত্যতা পাওয়া যায় পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply