ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি ইউনিয়নে রায়পাড়া সদরদি গ্রামে কাগজ কেনা কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পাড়া সদরদি গ্রামের ছরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে লিয়াকত মাতুব্বর(২২) ও লিমন মাতুব্বর(২০) সদরদি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মুদি দোকান ও ফটোকপির ব্যাবসা করে। এতে একই এলাকার ইব্রাহিম শেখের (২৪) নিকট থেকে কাগজ কিনে নিতো তারা। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে ১ ডজন কাগজের বান্ডিল নেয় লিমন মাতুব্বর। কিন্তু কাগজ নিম্নমানের হওয়ায় লিমন মাতুব্বর কাগজগুলো ফেরত দিতে চাইলে ইব্রাহিম শেখ বলে যে দাম একটু কম নেবে। কিন্তু হঠাৎ বাজারে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইব্রাহিম বর্তমান দামে টাকা চাইলে লিমন মাতুব্বর ঐ দামে টাকা না দিতে চাওয়ায় রাতের বেলা দলবল নিয়ে দোকানে হামলা করে ইব্রাহিম শেখ। এতে লিমন মাতুব্বর এবং লিয়াকত মাতুব্বর গুরুতর আহত হয়।
লিয়াকত মাতুব্বর এর বাবা ছরোয়ার মাতুব্বর জানান, আমি পাশেই চায়ের দোকানে ছিলাম। এরই মধ্যে চিৎকার শুনে এসে দেখি আমার ছেলেদের ইব্রাহিম শেখ সহ আরাও কয়েকজন বেধড়ক মারপিট করছে। আমি ঠেকাতে আসলে আমাকেও রড দিয়ে আঘাত করে এবং আমার ডান হাত কেটে যখম যায়। আমার ছেলে লিমন মাতুব্বর কে রড দিয়ে মেরে ডান হাতে গুরুতর যখম করে এবং হাতের আঙুল কামড়ে কেটে ফেলে এবং বড় ছেলে লিয়াকত মাতুব্বরকে বেধড়ক কিল ঘুষি মেরে দোকানের নিচে ফেলে দেয়। ইব্রাহিম এর সাথে থাকা ক্যাডার বাহিনী হাসমত শেখ, নাসিম, ইসমাইল, রাসমত, আওয়াল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে লিয়াকত মাতুব্বর এর হাতের কেনি আঙুল কেটে যায়। লিমনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পলিথিন পেচিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করার চেষ্টা করে তারা। পরে স্থানীয়রা আসলে ইব্রাহিম তার দলবল নিয়ে সটকে পড়ে। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
লিয়াকত মাতুব্বর বলেন, আমরা দোকানের ভেতরে ছিলাম। ইব্রাহিম হঠাৎ করে এসে আমাদের দোকানের ভেতর ঢুকে আমাদের মারতে থাকে এবং দোকানে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। দোকানে থাকা ১টা ল্যাপটপ, ১ টা ডেস্কটপ, ফটোকপি মেশিন, নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং দোকানের ভেতরে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। লিমনের ডান হাতে রড দিয়ে গুরুতর যখম করে এবং আমার ডান হাতে কেনি আঙুল কেটে ফেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে এনে রাত্রে ভর্তি করা হয়।
ভাঙ্গা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সেতু বলেন, গতকাল রাতে দুইজন আহত অবস্থায় ভর্তি হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের ডান হাতে গুরুতর যখম হয়েছে।
এদিকে ইব্রাহিম শেখ এর সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচড অফ দেখায়।
Leave a Reply