টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজিম উদ্দিনের মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে ২০০৮ সালে বিবাহ হয়। স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে মুসলিম শরীয়তের বিধান মতে রেজিস্ট্রীকৃত কাবিন মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর কিছুদিন সুখে শান্তিতে ঘর সংসার ও দাম্পত্ব স্বত্ব পালন করাঅস্থায় আমার স্বামীর (বিপ্রদী) উথমে আমার গর্তে একটি কন্যা সন্তান হয়। তার নাম মোছাঃ আয়শা আক্তার (০৯) জন্মগ্রহন করেন আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে যৌতুকের জন্য মারপিট করে। আমার স্বামী বলে আর এএসআই পদে পদোন্নতি হইতে ৬,০০,০০০/- (লক্ষ্য ছয় ) টাকা লাগবে।” উক্ত টাকার জন্য মারপিট করে আমাকে ও আমার সন্তান সহ বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিতার পেনশনের টাকা হইতে আমার ভাই উক্ত টাকা অমাকে দেয়। এরপর আমার স্বামী আমাকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় পকে। বাসায় থাকা অস্থায় কিছুদিন পর আবার যৌতুকের জন্য মারপিট করে এবং আমার স্বামী আমাকে রেখে বাসা ভাড়া না দিয়ে সেখানে রেখে চলে যায়। আমাকে ও কন্যা সন্তানের কোন খোজ খবর নেয় না। এমন কি আমাদের কোন ভরন পোষন ও সংসারের খরচ দেয় না। আমার ভাইয়েরা আমার সংসারের যাবতীয় সব খরচ দেয়। এই বিষয়ে ময়মনসিংহ ওসি মহোদয়কে জানাই ঢাকা হইতে ময়মনসিংহ যাই। ওসিকে বিস্তারিত বলার পর আমাকে হারুন নামক একটি স্যার। এর নিকট পাঠায় আমার স্বামী আমাকে দেখে হারুন স্যারের সামনে লাঠি দিয়ে ইচ্চা মতো মারপিট করে। আমাকে আটকিয়ে রেখে ময়মনসিংহ যাওয়ার সুযোগে বাসা খালি পেয়ে তার বড় ভাই ময়নালের সহযোগীতায় বাসার, সব ফার্ণিচার চুরি করিয়া নিয়া যায়। মালামালের অনুমানিক মূল্য ৫০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা। পরম্পর জানতে পারি তাহার বড় ভাই ময়নালের গাজীপুরের বাসায় নিয়া নিয়ে রেখেছে। এবং গোপনে আরও জানতে পারি আমার স্বামী আরেকটি মহিলা নিয়ে তার বড় ভাই ময়নালের ভাড়া বাসায় থাকে। তাহ প্রায় ৪ বছর যাবৎ আমার স্বামী আমার ও আমার কন্যার কোন খোঁচ খবর নেয় না। এবং কোন প্রকার ভরন পোষন দেয় না। সর্বশেষ আমার ভাই আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করালে বলে আরও ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিতে হবে। দিলে আপনার বোন কে নিয়ে সংসার করবো। এবং না দিলে তালাক দিয়ে দিবো।
শিরিন আক্তার গোপনে সংবাদ পায় তার স্বামী আনোয়ার হোসেন টঙ্গী মোক্তার বাড়ি রোড জাম তলা এলাকায় । একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ষষ্ঠ তলায় এক নারিকে নিয়ে বসবাস করেন। এ বিষয়ে সে বাড়ি মালিক সহ স্থানীয়দেরকে নিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। সে বাসার ভিতর অন্য একটি কক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়দানকারী কে সহ পাওয়া যায়। এ সময় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বীকার করেন আমি তার প্রথম স্ত্রী জেনে এবং একটি মেয়ে আছে। সকল কিছু জেনে আমি তার কাছে বিয়ে বসেছি। এবং সে বাসার সামনে প্রথম স্ত্রী রাত থেকে সকল পর্যন্ত তার ভাই বোনদের সাথে নিয়ে অনশন করেন। সকাল বেলায় তার স্বামী আনোয়ার হোসেন লোকজন এনে তার প্রথম স্ত্রী সহ সকল কে মারধর করেন পরবর্তীতে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে জানায় প্রথম স্ত্রী।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বলেন আমি কমলাপুর রেল স্টেশনে কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত আছি । আমি আমার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছি। আমি বিবাহ করিনি আমার বউ একটা পাগল। এবং তিনি আরো বলেন আমি দ্বিতীয় বিবাহ করি নাই। পরবর্তীতে সে স্বীকার করেন আমি বিবাহ করেছি। কিন্তু স্থানীয়রা কাবিননামা চাইলে তাদের কাছে নাই বলে জানায় আনোয়ার হোসেন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
এ সকল বিষয়ে প্রথম স্ত্রী শিরীন আক্তার রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন। বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply