ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের বিচার ও অপসারণ দাবি জানিয়েছেন এক নারী নেএী। শুক্রবার সকাল ১০টায় ধামরাই উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সুরাইয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে আমার ভাই আব্দুল মালেকের সঙ্গে ঝামেলা রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এরপরও আমার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন গত ২৯ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে আমাকে একা তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেন। এরপর তিনি আমাকে আদালত থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। আমি মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
আমি কোনোমতে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে সরাসরি ধামারই থানায় যাই। এরপর ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমার ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করে ওসি পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকের হাতে অভিযোগ জমা দেই। এরপর তিনি বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপপরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমি বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি তার বিচার ও অপসারণ চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, সুরাইয়া আক্তারের ভাই আব্দুল মালেক সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে অভিযোগ করেন। এজন্য সুরাইয়াকে পরিষদে ডেকে আনা হয়। যেহেতু ভাইবোনের মধ্যে বিবাদ তাই বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলা হয়। আর সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে।
Leave a Reply