ঢাকার ধামরাইয়ে পরিষদে ডেকে নিয়ে এক নারীনেত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকালে ছুরাইয়া আক্তার নামের ভুক্তভোগী ওই নারীনেত্রী ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগী ওই নারীনেত্রী বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোমভাগ ইউপি চেয়ারম্যান গোয়ালদী গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আওলাদ হোসেন আমাকে রোববার বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেন। এরপর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হেনস্তা করেন। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে সরাসরি থানায় যাই। এরপর ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করে অভিযোগ করি।
ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, সুরাইয়া আক্তারের ভাই মো. আব্দুল মালেক সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে অভিযোগ করেন। এজন্য সুরাইয়াকে পরিষদে ডেকে আনা হয়। যেহেতু ভাইবোনের মধ্যে বিবাদ তাই বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলা হয়। আর সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে।
নারীনেত্রী সুরাইয়া বলেন, জমি নিয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে আদালতে মামলা চলছে। এক্ষেত্রে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের কী করার এখতিয়ার আছে। ওই চেয়ারম্যান আমাকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হেনস্তা করে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply