এবার তিন দিন আগেই রংপুরের গণসমাবেশে উপস্থিত হবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে দলটির যুগ্ন মহাসচিব মোঃ হারুনুর রশীদ এমপি বলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাতালের মতো কথা বলেন। কথা শুনে মনে হয় তারা নেশাগ্রস্ত। তাই তাদের মাতলালি ছেড়ে সভ্য আচরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২২ অঅক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিএনপি আয়োজিত মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কোন ষড়যন্ত্র করে না। ষড়যন্ত্র বাইরে থেকে হয় না। ঘরেই ষড়যন্ত্র হয়। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্যে প্রকাশ করেছি আজকের এই দুঃসহ সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই পদত্যাগ করতে হবে। আপনি পদত্যাগ না করলে সংকট সমাধান হবে না ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোঃ হারুনুর রশীদ এমপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথা বলেন বিএনপি যদি সমাবেশে ১০ লাখ লোক আনেন আমরা আনবো ২৫ লাখ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজ খরচে সমাবেশে আসেন। আপনাদের মতো লোক ভাড়া করে বা ৪০০-৫০০ টাকা দিয়ে হাইয়ার করে নিয়ে আসে না। এটাই পার্থক্য আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে।
আন্তর্জাতিক সেংশন প্রাপ্ত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ সাবেক পুলিশের আইজিপি কি তার অহংকার, কি তার দাম্ভিকতা। পুলিশের পোষাক পরে হাতে অস্ত্র নিয়ে যে ভাষায় বেগম খালেদা জিয়াকে আক্রমণ করতেন আজ তার বুক ধুকুমধুকুম করছে। বাংলাদেশ কোন কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর নিরাপত্তা নেননি কিন্তু বেনজির আহমেদকে নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে হয়। গুম, হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কারণেই র্যাবের উপর সেংশন দেওয়া হয়েছে।
এমপি হারুন আরো বলেন, এই সরকার নিঃসন্দেহে একটি মুনাফেক বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক সরকার। নির্বাচনের কারচুপি করতে করতে সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। সর্বশেষ গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনেই প্রমাণ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই প্রথম ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঢাকা থেকে বসেই সিইসি দেখেন আওয়ামী লীগের ভোট চোর, ডাকাতরা কিভাবে চুরি করছে। তাই তিনি অসহায় হয়ে নির্বাচন বাতিল করেছেন। সিইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে কি লাভ। সেখানকার দায়িত্বরত ডিসি এসপিকে চাকরীচ্যুত করা দরকার। এই ভোট চুরির সাথে তারাও জড়িত। যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেখানে তদন্ত কমিটির কি দরকার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তো অপরাধীরা ধরা পড়বে।
প্রস্তুতি সভায় এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল খালেক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ অনেক।
Leave a Reply