পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার আলীকদমে সাম্প্রতিক তিন ধাপয় জব্দ কৃত ৪২টি দেশি গরুসহ ১১৬টি গরু-মহিষ নিলাম হয়েছে ৮৭ লাখ আশি হাজার টাকায়।
২২ই সেপ্টেম্বর ৫৭ বিজিবি সদরে অনুষ্ঠিত নিলামে ৩৫টি মহিষ ২৬ লাখ টাকা, ৪২টি বাংলা গরু ২৬ লাখ টাকা ও ৩৯ টি নাপা গরু ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হয়। আলীকদম ৫৭ বিজিবি ও আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যৌথ অভিযানে মোট ১৯৮ টি গরু জব্দ করা হয়েছে।
তার মধ্যে কিছু গরু সঠিক কাগজপত্র দাখিল করার কারণে ছাড়লেও আর বাকি ১১৬ টি গরু নিলাম হয়।উক্ত গরু গুলো অবৈধ পন্থায় মিয়ানমার সীমন্ত দিয়ে পোয়ামুহুরী ও কুরুকপাতা সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে নিয়ে এসে অবৈধ ক্রেতা রশিদ বানিয়ে পাচার করা হতো। প্রতিবারের মতো প্রশাসনের চোখে ধরা পড়লে গরু গুলো জব্দ করে আলীকদম ৫৭ বিজিবি ব্যাটিলিয়ানে রাখা হয়েছিল। এরপর সরকারি নিলামে তোলা হই গরু গুলো। ওপেন নিলামে গরু গুলো বিক্রি করা হই।
আমার প্রশ্ন হলো গরু গুলো সীমান্ত দিয়ে অর্থের বিনিময় পার হচ্ছে। তাহলে সীমন্তের দায়িত্বরত সামরিক বাহিনী কি করতেছে? ঘুষ বাণিজ্য না হলে সীমান্ত দিয়ে এসব গরু পার হচ্ছে কেমনে। এটি এখন হাজরো মানুষের প্রশ্ন! আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম তিনি ঘুষ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা বন্ধের জন্য রুখে দাঁড়াচ্ছে।
উনি একার পক্ষে সব কিছু সম্ভব না হলেও অসম্ভবের কিছুই দেখছিনা স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, মেহরুবা ইসলাম একজন নারী হয়ে যা দেখিয়ে যাচ্ছেন তা একজন পুরুষ হয়েও অনেকটা অসম্ভব।
Leave a Reply